ইরানের সাড়া পেয়ে রাশিয়া যুদ্ধজাহাজ নিয়ে হাজির

 ইরানের সাড়া পেয়ে রাশিয়া যুদ্ধজাহাজ নিয়ে হাজির.......ইরান যুদ্ধের ঘণ্টা বাজাল। ইরানের  চির শত্রু দেশ ইসরায়েল। এখনো মুখে বুলি চালাচ্ছে। তবে ইরানে ওপর হামলা চালাতে পারে তেলআবিব যে কোনো সময়ে।

রাশিয়া  সঙ্গে যৌথ নৌমহড়ার অংশ নিচ্ছে ইরান

আর এই জন্যই ইরান প্রতিশোধমূলক  হামলার আশঙ্কার মধ্যেই এবার সাগরে নিজেদের শক্তি প্রদর্শন শুরু করল । ইসরায়েলের আঁটোসাটো  আকাশের  প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থেকেও গুঁড়িয়ে দিয়ে ইতোমধ্যে নিজেদের ক্ষেপণাস্ত্রের সক্ষমতা দেখিয়েছে ইরান । এবার নৌপথেও শক্তি দেখিয়ে ইসরায়েল কে সতর্ক বার্তা দিতে চাইছে ইরান। বিপদে সময়ে  ইরানের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে রাশিয়া। ঠিক যেভাবে ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্বে চলমানে রাশিয়ার পাশে আজও আছে। 

রাশিয়ার পাশে আজও আছে ইরান। 

গত কয়েক বছরে রাশিয়া ও ইরানের মধ্যে সামরিক সহযোগিতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে ২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে। ইরানকে রাশিয়ার জন্য ড্রোন সরবরাহ করার অভিযোগও রয়েছে। বিশেষ করে ‘শাহেদ’ নামক আক্রমণাত্মক ড্রোন রাশিয়াকে সরবরাহ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

যেমন- ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে ইরান যেভাবে  ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করেছে। অন্যদিকে রাশিয়া ইরানকে সামরিক দক্ষতা ও প্রযুক্তি সরবরাহ করছে। ইরান-ইসরাইল সংঘাতের মাঝেও রাশিয়া ইরানকে সহায়তা করছে। এছাড়া, উভয় দেশের মধ্যে সাইবার যুদ্ধের ক্ষেত্রেও পশ্চিমবিরোধী সহযোগিতা বাড়ছে। ভিতরে ভিতরে চিন ও আছে । অপেক্ষায় আছে ইসরাইল কবে প্রতিশোধমূলক হামলা চালাবে , এবং ইরান পূর্নশক্তি দিয়ে যখনই  ইসরাইলে আক্রমন করবে, তখনই আমেরিকা ইসরাইলের পাশে এসে এন্ট্রি নেবে । রাশিয়া-চিন ও ইরান তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে দিকে নিয়ে চলে যাওয়ার মোড় নেবে । রাশিয়া-চিন এশিয়ার ওপর আমেরিকর দাদাগিরি আর মেন নেবে না ।

নিজেদের যুদ্ধজাহাজ নিয়ে বন্ধুর এ নৌমহড়ায় যোগ দিয়েছে রাশিয়া। শনিবার ভারত মহাসাগরে শুরু হওয়া এই মহড়ায় রাশিয়ার পাশাপাশি অংশ নিয়েছে ওমানও। 

এছাড়া আছে  আরও ৯টি দেশ পর্যবেক্ষকের ভূমিকায় । সে তালিকায় এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে রয়েছে বাংলাদেশের নামও। এই নৌমহড়ার নাম দেওয়া হয়েছে আইম্যাক্স-২০২৪। ইরানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম প্রেস টিভি জানিয়েছে, এই অঞ্চলে সম্মিলিত নিরাপত্তা, বহুপাক্ষিক সহযোগিতার প্রসার এবং শান্তি, বন্ধুত্ব এবং সামুদ্রিক নিরাপত্তা রক্ষায় সদিচ্ছা ও সক্ষমতা প্রদর্শনই এ মহড়ার লক্ষ্য। এমন এক সময় এ মহড়া অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যখন পুরো মধ্যপ্রাচ্য তেতে আছে। যুক্তরাষ্ট্রের ইসরায়েলের পাশে দাঁড়ানোয় ইরানও রাশিয়া এবং চীনের সঙ্গে সখ্যতা বাড়িয়েছে।        সূত্র : রয়টার্স