ইরানে হামলা চালাতে ইসরায়েলকে নিজেদের আকাশসীমা ব্যবহার করতে দেবে না

  ইরানে হামলা চালাতে ইসরায়েলকে নিজেদের আকাশসীমা ব্যবহার করতে দেবে না।  

 

ইরানে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে  ইসরায়েলের, সৌদি নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টায় মার্কিন সরনাপন্য৷

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করছেন সৌদির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান।

 

দখলদার ইসরায়েল (দখলদার ইসরায়েল এই কারণেই বলবো ইজরাইল বলে দেশ আজ ও নেই । এমনকি  রাষ্ট সংঘেও দেশ বলে সৃকিতি  পায় নি আজ ও পর্যন্ত ।) সবটাই ছিলো প্যালেস্টাইনে । কাল ক্রমে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কালে হিটলারে 60 লক্ষ  ইহুদি মেরে ফেলে,  এবং আশ্রয় দেওয়া মতো কেউ সাহায্য করেনি, শেষে তৎকালীন ব্রিটিশরা প্যালেস্টাইন পাশে থাকার জন্য ব্যবস্থা করে দিয়েছিলো এই ইহুদি সম্প্রদায় পরবর্তী কালে ফিলিস্তিনিদের ওপর চড়াও হতে হতে ইজরাইল গঠন করে, হিটলার এদের জিনগত বৈশিষ্ট্য জানতো বলেই 60 লক্ষ্য হিহুদি হত্যা করেছিলো। যাই হোক মেন খবরে আসি। সৌদি বলে দিয়েছে   যেন ইরানের তেল স্থাপনায় হামলা না চালায় সেজন্য যুক্তরাষ্ট্রের কাছে লবিং করছে সৌদি আরবসহ গালফ অঞ্চলের দেশগুলো। কারণ তাদের শঙ্কা, যদি ইসরায়েলের হামলার পর সংঘাত ছড়িয়ে পড়ে তাহলে তাদের নিজেদের তেল স্থাপনাও ইরানি প্রক্সি বাহিনীর কাছে হামলার ঝুঁকিতে পড়তে পারে। 

সৌদি আরব, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাত USA (United State Of America ) কে জানিয়ে দিয়েছে, ইরানে হামলা চালাতে ইসরায়েলকে নিজেদের আকাশসীমা ব্যবহার করতে দেবে না তারা।

গত ১ অক্টোবর দখলদার ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ১৯০ টি ওপর ব্যালিস্টিক মিসাইল ছোড়ে ইরান। এরপর থেকেই ইরানে পাল্টা হামলা চালানোর হুমকি দিয়ে  আসছে দখলদার ইসরায়েল। সৌদিসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো চাইছে তারা যেন এই দ্বন্দ্বের মধ্যে পড়ে না যায়।

ব্যালিস্টিক মিসাইল হামলা চালানোয় ইরানকে বলেছে খুব বড় ভুল করে দিয়েছে ইরান এর মূল্য দিতে হবেই বলেছে  ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।

এদিকে ইরান ও বলেছে যদি ভুল করেও আক্রমণ করতে আসে ইসরাইল তাহলে ইসরায়েল বলেই মানচিত্রে কিছু থাকবে না ।

ইসরাইলের আয়তন ২০ হাজার বর্গ কিলোমিটার,  এই ২০ হাজার বর্গ কিলোমিটারে 25 টা পারমাণবিক কেন্দ্র আছে। ইরান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে যদি ইসরাল আক্রমণ করে ইরানের ওপর, তাহলে ইরান ও ইসরায়েলের পারমানবিক কেন্দ্র টার্গেট থাকবে। আর যদি ইরান সেটাই করে বসে তবে ইসরায়েলের পারমানবিক কেন্দ্র হামলা হলে , মাত্র একটা তে যদি হামলা করে যে পরিমান তেজস্ক্রিয় বেড়োবে ইসরায়েল  মরুভূমির হতে কেউ বাঁচাতে পারবে না । এটাই ইসরায়েলের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে  । এই ছোট্ট দেশে দেশ বলা যাবে না দখলদারি ইসরায়ল । 

ইরান সৌদি আরবকে সতর্কতা করে দিয়েছে , যদি ইসরায়েলকে  আকাশসীমা ব্যবহার করতে দেওয়া হয়। আর কোনোভাবে ইসরায়েলকে তারা সহযোগিতা করে তাহলে সৌদির তেল স্থাপনাগুলোতে তারা হামলা চালাতে পিছবা হবে না ।

সৌদির এক বিশ্লেষক বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, “ইরান মূলত বার্তা দিয়েছে গালফ অঞ্চলের দেশগুলো যদি ইসরায়েলকে আকাশসীমা ব্যবহার করতে দেয়। তাহলে এটি তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের সামিল হবে আমরা ধরে নেবো ।

ইরান সৌদিকে কঠোর হুমকি দিয়ে বলেছে, যদি তারা কোনোভাবে ইসরায়েলকে সহায়তা করে তাহলে ইরাক এবং ইয়েমেনে থাকা তাদের প্রক্সি বাহিনী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে সৌদি ওপরে ।