Hot Posts

6/recent/ticker-posts

চিনা চাপ? ভারতকে বাদ দিয়েই চাবাহার থেকে রেল চালাবে ইরান!

বিদেশি খবর ........ WWW.SKMDSAMIMSMS.IN..IN  চিনা সংঘাতের জেরে এবার ইরানের চাবাহার প্রকল্প থেকে বাদ পড়ল নয়াদিল্লির নাম। বেজিংয়ের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তির পরই চাবাহার পর্যন্ত রেল প্রকল্প থেকে ভারতের নাম বাদ দিয়েছে ইরান। স্পষ্ট কোনও বিবৃতি না দিলেও চুক্তিতে ভারতের নাম নেই বলেই জানা গেছে। এই নিয়ে আপাতত কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি বিদেশ মন্ত্রক। ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মতে, ইরানের এই সিদ্ধান্তের পিছনে চিনা উস্কানির আশঙ্কাই বেশি।

ইরানের চাবাহার সমুদ্র বন্দর থেকে আফগানিস্তান সীমান্তের কাছে শহর জাহেদান পর্যন্ত দীর্ঘ ৬২৮ কিলোমিটার দূরত্বের রেল চালানোর জন্য ভারত, ইরান এবং আফগানিস্তানের মধ্যে চুক্তি হয়েছিল। ২০১৬ সালে হওয়া এই চুক্তির উদ্দেশ্য ছিল, আফগানিস্তান এবং মধ্য এশিয়ার দেশগুলির সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য পথ মসৃণ করা। চাবাহার বন্দর দিয়ে অন্তত ২৬টি দেশে পণ্য যাতায়াত করতে পারে। ওই বন্দর নির্মাণ ও পরিচালনায় এর আগে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল ভারত।পররাষ্ট্র বিশেষজ্ঞদের মতে, পাকিস্তানের গদর বন্দরকে ভারত মহাসাগরের অন্যতম ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করতে চলেছে চিন। বেজিংয়ের BRI (Belt and Road Initiative) প্রকল্পে গদর বন্দরের পণ্য বালুচিস্তান হয়ে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মধ্যে দিয়ে চিনে পৌঁছনোর কথা। ২০৪৯ সালে এই প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা। চিন-পাকিস্তান এই অর্থনৈতিক করিডর নিয়ে তীব্র আপত্তি রয়েছে ভারতের। গদরের পালটা হিসেবেই ইরানের চাবাহার বন্দর নির্মাণে অংশ নিয়েছে ভারত। এর ফলে ভারত মহাসাগরে নিজেদের উপস্থিতিও শক্তিশালী করতে পারবে নয়াদিল্লি। তারই অঙ্গ ছিল আফগানিস্তান, ইরানকে নিয়ে এই ত্রিপাক্ষিক চুক্তি। তা ধাক্কা খাওয়া নয়াদিল্লির কাছে মোটেই সুখকর নয়।তবে একইসঙ্গে কূটনীতিকদের একাংশের মতে, ইচ্ছাকৃতভাবেই প্রকল্প নিয়ে আগ্রহ কমিয়েছে ভারত। কারণ হিসেবে, তাঁরা আমেরিকা ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ইরান সম্পর্কিত মনোভাবকেই দায়ী করছেন। তাঁদের মতে, চাবাহার সমুদ্র বন্দর ও সংশ্লিষ্ট রেলপথ নিয়ে আমেরিকা কখনই ভারতকে সরাসরি কোনও চাপ দেয়নি। তবে ইরানের উপর একাধিক অভিযোগে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আমেরিকা। এমনকী তেহরানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য নয়াদিল্লির উপরও চাপ দিচ্ছিল ওয়াশিংটন। যার জেরেই গত বছর ইরান থেকে অপরিশোধিত তেল আমদানি বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছিল মোদী সরকার।
২০১৬ সালে তেহরান সফরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী ইরান ও আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। তখন সই হওয়া ত্রিপাক্ষিক চুক্তি অনুযায়ী, রেল প্রকল্পে ১৬০ কোটি ডলার খরচ করার কথা ছিল ভারতের। তবে সম্প্রতি তেহরানের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ভারতীয় সাহায্য ছাড়াই রেল প্রকল্পের কাজ শেষ করবে তারা। ২০২২ সালের মধ্যে তা শেষ হবে। এরজন্য ৪০ কোটি ডলার বরাদ্দও করেছে ইরান।
বিদেশি খবর ........ WWW.SKMDSAMIMSMS.IN..IN

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

"