আন্তর্জাতিক রিপোর্ট ডেক্সঃ কাশ্মীরের পুলওয়ামায় জঙ্গী হামলায় ৪০ সেনা নিহত হওয়ার পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী হুঁশিয়ার করেছেন, হামলার জন্য দায়ীদের চড়া মাসুল দিতে হবে।ভারত সরকার ঐ হামলার জন্য সরাসরি পাকিস্তানকে দায়ী করছে।
কিন্তু ভারতের সামনে জবাব দেওয়ার মতো বিকল্প কী কী রয়েছে? একসাথে কূটনৈতিক, সামরিক এবং অর্থনৈতিক প্রত্যাঘাতের কথা বলছেন অনেকে। তবে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, যে সব বিকল্প আছে, তার কোনোটাই খুব সহজ হবে না ভারতের পক্ষে।
দক্ষিণ এশিয়ায় নিরাপত্তা থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ইনস্টিটিউট অফ কনফ্লিক্ট ম্যানেজমেন্টের পরিচালক অজয় সাহনী জানান, যে গতবছর মার্চে প্রতিরক্ষা বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটি রিপোর্ট দিয়েছিল যে সামরিক বাহিনীর ৬৮ শতাংশ সরঞ্জাম বহু পুরনো, সেকেলে। এমনকি পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ বাধলে ১০ দিন পর্যন্ত লড়াই করার গুলি বারুদ মজুদ রয়েছে ভারতের।
সাহনী জানান, যেসব বিকল্প নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, সেগুলো সবই চটজলদি ব্যবস্থা। একটা হামলার প্রতিক্রিয়া নিয়ে ভাবা হচ্ছে। সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলা এভাবে করা যায় না। যখনই একটা বড়ধরণের হামলা হয়, তখনই এসব চিন্তাভাবনা শুরু হয়। কিন্তু প্রশ্নটা হল এর আগের হামলা আর এই হামলার মাঝের সময়টাতে কী করা হল? সামরিক ব্যবস্থাপনা বা গোয়েন্দা ব্যবস্থায় কি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক সব্যসাচী বসু রায় চৌধুরী বিবিসিকে বলেন, পাকিস্তানের মতো পারমনবিক শক্তিধর কোনো দেশের বিরুদ্ধে চরম কোনো পথ নেওয়া কঠিণ সিদ্ধাস্ত।
তিনি বলেন, ‘ক্ষমতাসীনদের ওপরে যথেষ্ট চাপ আছে বিরোধী পক্ষর থেকে যেমন, তেমনই জনমতও তৈরী হয়েছে যে এই হামলার প্রত্যাঘাত করা দরকার। সেদিক থেকে মনে হয় সামরিক বিকল্পের দিকেই ভারত ঝুঁকবে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে সেরকম প্রত্যাঘাত আবারও পাল্টা আঘাত টেনে আনবে কিনা! কারণ দুটোই পারমানবিক শক্তিধর দেশ।’ সূত্র বিবিসি
ভারতকে পাকিস্তানের হুঙ্কার
তদন্ত ছাড়াই দোষারোপ পাকিস্তান বরদাশ করবে না বলে হুঙ্কার দিয়েছে ইসলামাবাদ।
শনিবার পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি বলেছেন, ‘পাকিস্তানকে কূটনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন করতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে স্বপ্ন দেখেছেন তা কখনই পূরণ হবে না।’ জম্মু-কাশ্মীরে সিআরপিএফ জওয়ানদের ওপর বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলার পর আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে পাকিস্তানকে বিচ্ছিন্ন করতে মোদির ঘোষণার পর এই হুঙ্কার দিয়েছে ইসলামাবাদ।
তিনি বলেন, পাকিস্তান কখনই সহিংসতার পক্ষে নয়, সেটি আজ অথবা গতকাল হোক না কেন। একই সঙ্গে পাকিস্তানের ভূখণ্ড সন্ত্রাসীদের ব্যবহারের অনুমতি দেয়া হয় না। দোষারোপের খেলায় কেউ কখনো কোনো কিছু অর্জন করতে পারে না।
তিনি বলেন, পুলওয়ামা হামলা থেকে পাকিস্তানের লাভবান হওয়ার কিছু নেই। আর এ ঘটনা সম্পর্কে বিশ্ব অবগত আছে। তদন্ত ছাড়াই দোষারোপের সংস্কৃতি অত্যন্ত দুঃখজনক। এই অঞ্চলের শান্তি এবং স্থিতিশীলতাকে গুরুত্ব দেয়া উচিত ভারতের।
সূত্র : এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
প্রতিটি তাজা আপডেট পেতে ফেসবুক এ পেজে Sk Md Samim sms লাইক করুন ।
কিন্তু ভারতের সামনে জবাব দেওয়ার মতো বিকল্প কী কী রয়েছে? একসাথে কূটনৈতিক, সামরিক এবং অর্থনৈতিক প্রত্যাঘাতের কথা বলছেন অনেকে। তবে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, যে সব বিকল্প আছে, তার কোনোটাই খুব সহজ হবে না ভারতের পক্ষে।
দক্ষিণ এশিয়ায় নিরাপত্তা থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ইনস্টিটিউট অফ কনফ্লিক্ট ম্যানেজমেন্টের পরিচালক অজয় সাহনী জানান, যে গতবছর মার্চে প্রতিরক্ষা বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটি রিপোর্ট দিয়েছিল যে সামরিক বাহিনীর ৬৮ শতাংশ সরঞ্জাম বহু পুরনো, সেকেলে। এমনকি পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ বাধলে ১০ দিন পর্যন্ত লড়াই করার গুলি বারুদ মজুদ রয়েছে ভারতের।
সাহনী জানান, যেসব বিকল্প নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, সেগুলো সবই চটজলদি ব্যবস্থা। একটা হামলার প্রতিক্রিয়া নিয়ে ভাবা হচ্ছে। সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলা এভাবে করা যায় না। যখনই একটা বড়ধরণের হামলা হয়, তখনই এসব চিন্তাভাবনা শুরু হয়। কিন্তু প্রশ্নটা হল এর আগের হামলা আর এই হামলার মাঝের সময়টাতে কী করা হল? সামরিক ব্যবস্থাপনা বা গোয়েন্দা ব্যবস্থায় কি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক সব্যসাচী বসু রায় চৌধুরী বিবিসিকে বলেন, পাকিস্তানের মতো পারমনবিক শক্তিধর কোনো দেশের বিরুদ্ধে চরম কোনো পথ নেওয়া কঠিণ সিদ্ধাস্ত।
তিনি বলেন, ‘ক্ষমতাসীনদের ওপরে যথেষ্ট চাপ আছে বিরোধী পক্ষর থেকে যেমন, তেমনই জনমতও তৈরী হয়েছে যে এই হামলার প্রত্যাঘাত করা দরকার। সেদিক থেকে মনে হয় সামরিক বিকল্পের দিকেই ভারত ঝুঁকবে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে সেরকম প্রত্যাঘাত আবারও পাল্টা আঘাত টেনে আনবে কিনা! কারণ দুটোই পারমানবিক শক্তিধর দেশ।’ সূত্র বিবিসি
ভারতকে পাকিস্তানের হুঙ্কার
তদন্ত ছাড়াই দোষারোপ পাকিস্তান বরদাশ করবে না বলে হুঙ্কার দিয়েছে ইসলামাবাদ।
শনিবার পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি বলেছেন, ‘পাকিস্তানকে কূটনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন করতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে স্বপ্ন দেখেছেন তা কখনই পূরণ হবে না।’ জম্মু-কাশ্মীরে সিআরপিএফ জওয়ানদের ওপর বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলার পর আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে পাকিস্তানকে বিচ্ছিন্ন করতে মোদির ঘোষণার পর এই হুঙ্কার দিয়েছে ইসলামাবাদ।
তিনি বলেন, পাকিস্তান কখনই সহিংসতার পক্ষে নয়, সেটি আজ অথবা গতকাল হোক না কেন। একই সঙ্গে পাকিস্তানের ভূখণ্ড সন্ত্রাসীদের ব্যবহারের অনুমতি দেয়া হয় না। দোষারোপের খেলায় কেউ কখনো কোনো কিছু অর্জন করতে পারে না।
তিনি বলেন, পুলওয়ামা হামলা থেকে পাকিস্তানের লাভবান হওয়ার কিছু নেই। আর এ ঘটনা সম্পর্কে বিশ্ব অবগত আছে। তদন্ত ছাড়াই দোষারোপের সংস্কৃতি অত্যন্ত দুঃখজনক। এই অঞ্চলের শান্তি এবং স্থিতিশীলতাকে গুরুত্ব দেয়া উচিত ভারতের।
সূত্র : এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
প্রতিটি তাজা আপডেট পেতে ফেসবুক এ পেজে Sk Md Samim sms লাইক করুন ।
0 মন্তব্যসমূহ